ইব্রাহীম খলীল, পাথরঘাটা।
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের দাম বৃদ্ধিতে শান্তিতে নাই রোজাদার সহ সাধারণ জনগন। এরই পাশাপাশি ৩৩ কেভি লাইনের অজুহাত দেখিয়ে দিনের পর দিন লোডশেডিং দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নাই বলেই চলে। যা রোজাদারসহ সকলের জন্য চরম ভোগান্তি।
রমজানের পূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন পবিত্র রমজানে সাহরী, ইফতার ও তারাবিতে লোডশেডিং থাকবে না। অথচ পাথরঘাটা উপজেলায় সারাদিন রোজা রেখে রোজাদারগন ইফতার, সাহরী ও তারাবি আদায় করেন বিদ্যুৎ ছাড়াই। কিছু কিছু ঘর ও মসজিদে বাতির ব্যাবস্থা থাকলেও গরমের কষ্ট থেকেই যায়, যা সারাদিন রোজা রেখে বিদ্যুৎ ছাড়া দিন পার করা মোটেই সাধ্যের নয়। (১৪ মার্চ) বৃহস্পতিবার ও (১৫ মার্চ) শুক্রবার সবমিলিয়ে ৬ ঘন্টাও বিদ্যুৎ এর দেখা মেলেনি রায়হানপুর ও কাকচিড়া এলাকায়।
৩৩ কেভি লাইন মেরামতের জন্য কয়েকদিন পূর্বে নোটিশে উল্লেখ ছিলো দুপুর ১ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। অথচ সেই বিদ্যুৎ নিয়ে যায় দুপুর ১২ টার সময়, আবার বিকেলে ৫ টার জায়গায় রাত ৮ টার সময়ও বিদ্যুৎ আসে না। সপ্তাহে দু-এক দিন নোটিশ দিলেও বাকি দিনগুলোতে নোটিশ ছাড়াই চলে ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং। তবে বিদ্যুৎ বিল দিতে দেরি করলেই গ্রাহকের লাইন কাটার জন্য আসতে মোটেই দেরি করে না বিদ্যুৎ অফিসের লোক।
উপজেলার রায়হানপুর, কাকচিড়া ও নাচনাপাড়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নের রোজাদারসহ জনগণের সাথে কথা বললে সকলেই অন্তত রোজার মাসে লোডশেডিং ব্যতিত বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি করেন।
৫৫ বছর বয়সী আঃ মজীদ মিয়া বলেন চৈত্র মাসে রোদের মধ্যে সারাদিন রোজা রেখে ইফতার ও তারাবিতে বিদ্যুৎ না পেলে খুবই কষ্ট হয়। এছাড়াও বিভিন্ন মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় ২০ রাকাত তারাবি ও ওয়াক্তিয়াসহ দীর্ঘ ২৯ রাকাত নামাজ, ঠিকমত বিদ্যুৎ না থাকায় ইমাম ও মুসুল্লিদের অনেক কষ্টের মধ্যে নামাজ আদায় করতে হয়।
এদিকে পবিত্র রমজানে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকার বিষয়ে জানতে মোবাইলের মাধ্যমে পাথরঘাটা বিদ্যুৎ অফিসে বার বার কল দিলেও তাদের পক্ষ থেকে রিসিভ না করায় কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।