ঢাকাশুক্রবার , ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলামিক
  7. কবিতা
  8. কৃষি সংবাদ
  9. ক্যাম্পাস
  10. খাদ্য ও পুষ্টি
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. ছড়া
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ট্রলার মালিককে কুপিয়ে নদীতে ফেলে দেয়ার সন্দেহে কর্মচারী আটক

কালের কথা
ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪ ২:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ইব্রাহীম খলীল, পাথরঘাটা (বরগুনা)।

মাছবাহী ট্রলারে (ক্যারিংবোট) হামলা চালিয়ে মাছ নগদ অর্থ লুট করার অভিযোগ উঠেছে সেই ট্রলারেরই কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এই হামলায় ট্রলার মালিক ও মৎস্য ব্যবসায়ী রাশেদ হোসেন (৪৫) নিখোঁজ হয়েছেন।

ট্রলার থেকে উদ্ধার হওয়া আলামতের ভিত্তিতে পুলিশের ধারণা মাছ লুট করতে মৎস্য ব্যবসায়ী রাশেদকে কুপিয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছে তারই ট্রলারের কর্মচারী ইব্রাহিম। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে রাঙ্গাবালী থেকে গলাচিপা যাওয়ার পথে নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, শুক্রবার সকালে লুট করা মাছ বরগুনা জেলার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বিএফডিসি ঘাটে নিয়ে বিক্রি করতে গেলে ট্রলারের কর্মচারী ইব্রাহিমকে আটক করে পুলিশ। তবে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত নিখোঁজ মৎস্য ব্যবসায়ী রাশেদের কোন খোঁজ মেলেনি। রাশেদ রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরমোন্তাজ গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাশেদের মালিকানাধীন মাছবাহী ট্রলার নিয়ে চরমোন্তাজ থেকে গলাচিপা উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয় তিনজন। তাদের মধ্যে রাশেদ নিজে এবং মাঝি হিসেবে ছিলেন জামাল মোল্লা ও কর্মচারী ছিলেন ইব্রাহিম। পথিমধ্যে কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর (ধানখালী) ইউনিয়নের পাটুয়া হয়ে গলাচিপা যাওয়ার পথে ক্যারিংবোটের কর্মচারী ইব্রাহিম হামলা চালায় মালিক রাশেদ ও জামালের ওপর। তাদের মধ্যে জামালের ওপর অতর্কিত হামলা চালালে আত্মরক্ষায় সে নদীতে ঝাঁপ দেয়। পরে আহত জামাল সাঁতরে তীরে উঠলেও খোঁজ মেলেনি রাশেদের। আহত জামালকে কলাপাড়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে রাশেদের পরিবার সুত্রে জানা যায় যে, রাশেদ একজন মৎস ব্যবসায়ী তার সাথে মোটা অংকের টাকা ছিলো, হয়তো সেই টাকার লোভেই কর্মচারী ইব্রাহিম এ ঘটনা ঘটিয়েছে 

নিখোঁজ রাশেদের বাবা আলতাফ হোসেন বলেন, ‘ছেলের এখনও কোন খোঁজ পাইনি।’
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মাছ নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রলারেরই কর্মচারী ইব্রাহিম মাঝিকে ব্যালচা দিয়ে আঘাত করেছে। সেই মাঝি নদীতে লাফিয়ে পড়ে নিজেকে রক্ষা করেছে। আর ট্রলারের ভেতরে থাকা মালিক রাশেদ সম্ভবত ঘুমে ছিল তাই তাকে সম্ভবত কুপিয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছে। পরে ট্রলার নিয়ে পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটে মাছ বিক্রি করতে এসে ইব্রাহিম আটক হয়। ট্রলারে আমরা রক্তমাখা কাপড় পেয়েছি। কিন্তু ট্রলার মালিককে এখনও পাইনি। ঘটনাস্থলে নৌপুলিশ তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে। ভিকটিমের পরিবারের লোকজন রাঙ্গাবালী থানার উদ্দেশ্যে গেছে। তারা ওখানে মামলা দিবে।’ রাঙ্গাবালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এবিষয়ে আমরা কোন অভিযোগ পাইনি।’

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
%d bloggers like this: