ইব্রাহীম খলীল, পাথরঘাটাঃ
সকালে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ। প্রাণিকূলে নেই স্বস্তি। প্রকৃতির বাতাসে গরম হাওয়া। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। খরা আর তীব্র গরমে নষ্ট হচ্ছে ফসল। গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে রহমতের বৃষ্টির আশায় মহান আল্লাহ তায়ালার নিকট বৃষ্টি চেয়ে সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায় ও বিশেষ মোনাজাতে দোয়া করেছেন পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের আলেম সমাজ ও স্থানীয় জনগন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার ১নং রায়হানপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের খাঁন বাড়ি ঈদগাহ মাঠে প্রায় শতাধিক মুসল্লির উপস্থিতিতে সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নামাজে ইমামতি করেন রায়হানপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মাওঃ হাফিজুর রহমান।
নামাজের পূর্বে আগত মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান করেন, মাওঃ আবু হানিফ ও মাওঃ আবু বকর প্রমুখ। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করেন রায়হানপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার (অবঃ) শিক্ষক মৌলভী সামছুল হক।
এ সময় মুসল্লিরা অঝরে চোখের পানি ছেড়ে মোনাজাত করেন এবং তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এছাড়াও মোনাজাতে চলমান বৈশ্বিক সংকট থেকে মুক্তির দোয়াও করা হয়।
নামাজে অংশ গ্রহণকারী মুসল্লিরা জানান, দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় মানুষ খুব বিপদে আছে। বিপদের সময় আল্লাহ নামাজের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। বৃষ্টির জন্য এই নামাজ আদায় করা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত। তাই আমরা সবাই একত্র হয়ে এ নামাজ আদায় করেছি।
প্রসঙ্গত, বৃষ্টি প্রার্থনায় সম্মিলিতভাবে আজান, একামত ছাড়াই জামাতের সাথে দুই রাকাত নামাজ আদায় ও হাত উল্টে দোয়া করা হয়। এটাকে বলা হয় ‘সালাতুল ইস্তিসকা বা বৃষ্টির নামাজ’ ইমাম সাহেব কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে দুই হাত প্রসারিত করে রহমতের বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন। মুসল্লিরাও তখন কায়মনোবাক্যে দোয়া-প্রার্থনা করেন।
বস্তুত পাপমোচনের জন্য আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠ অন্তরে তওবা-ইস্তেগফার করতে হয়। তবেই আল্লাহ তাআলা মানুষের মনোকামনা পূরণ করেন এবং বৃষ্টি দিয়ে নিসর্গ সিক্ত করেন।