ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৫ এপ্রিল ২০২৪
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আরো
  6. ইসলামিক
  7. কবিতা
  8. কৃষি সংবাদ
  9. ক্যাম্পাস
  10. খাদ্য ও পুষ্টি
  11. খুলনা
  12. খেলাধুলা
  13. চট্টগ্রাম
  14. ছড়া
  15. জাতীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নতুন কারিকুলামে ইংরেজি শিক্ষা

কালের কথা
এপ্রিল ২৫, ২০২৪ ২:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মুক্ত মত:

নতুন কারিকুলামে ইংরেজি শিক্ষা:

বৃটিশ উপনিবেশ উপমহাদেশে ইংরেজি শিক্ষায় গুরুত্ব সৃষ্টি করেছে। সূচনা থেকে এর গুরুত্বের সূচক বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এদেশের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের শিক্ষা ব্যয়ের একটা বড় অংশ ইংরেজি শিক্ষার পিছনে ব্যয় করেন কিন্তু খরচের অনুপাতিক হারের সাথে তুলনা করলে শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ভাষা কতটুকু শিখছে? এই প্রশ্ন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, নিয়োগকর্তা, শিক্ষক এবং সরকারের সব মহলের। নিয়োগকর্তাদের প্রায়ই আক্ষেপ করতে দেখা যায় এই বলে যে, আজকাল লেখাপড়ার কোন মান নেই। উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন একজন যুবক নিজের পরিচয় টুকু বা কাজ চালিয়ে নেওয়ার মত ইংরেজিটুকু জানে না (আসলে তাকে জানানো হয়নি)। অনেক সময় বলতে শোনা যায়- কোন প্রতিষ্ঠান/ কোন শিক্ষকরা পড়িয়েছে? এমন আপত্তিকর প্রশ্ন করা হয়। পূর্বের কারিকুলাম ছিল ইংরেজি শিক্ষার জন্য এক অন্ধকার যুগের ন্যায়।যেখানে শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে চাপের মধ্যে রেখে কিছু নির্দিষ্ট বিষয় মুখস্থ করানো হতো। যার সাথে বাস্তবতার খুব সামান্যই মিল ছিল। শিক্ষার্থীরা শুধু A+ বা পাশ করার জন্যই কিছু নির্দিষ্ট টপিক মুখস্থ করত। আর তাদের ইংরেজি শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ছিল যথা সম্ভব গ্রামারের নিয়ম কানুন মুখস্ত করা এবং হাস্যকর ভাবে এগুলো শনাক্ত করা  এবং গঠন গত কিছু পার্থক্য করা। তারা কখনোই ভাষা শিক্ষার জন্য নিবেদিত ছিল না। এই শিক্ষার্থীরা ইংরেজি বলতে লজ্জাবোধ করতো, পরিস্থিতি যতই ভয়ংকর হোক মুখ ফুটবে না কিন্তু কলম চলবে। শিক্ষা বোর্ডগুলো এমনভাবে প্রশ্নপত্র প্রনয়ন করত যে, শিক্ষার্থী, অভিভাবক  এবং শিক্ষার্থীরা এই প্রক্রিয়ার বাহিরে গিয়ে ভাবার আদৌ কোন সুযোগ পেতনা, এক্ষেত্রে তারা অনৈতিক পথ অবলম্বনে পিছ পা হত না, বইয়ের নাম ছিল কামিউনিকেশন ইংলিশ বাস্তবে কামিউনিকেশনের কোন অস্থিত্ব ছিলনা। একজন শিক্ষক হিসেবে অবাক হই এই ভ্রান্ত পদ্ধতি কিভাবে এত বছর ধরে চলল এবং এর সপক্ষে একটা প্রজন্মকে দার করানো হল। বিস্ময়ের শেষ থাকে না যখন দেখি বিভিন্ন পর্যায়ের কিছু শিক্ষকরা এই ব্যর্থ কালিকুলামের পক্ষে কথা বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় সৃষ্টি করে কিছুটা ভাইরাল হওয়ার আশায়।

এবার নতুন কারিকুলামে ইংরেজি শিক্ষার পদ্ধতি ও উপযোগীতা নিয়ে কিছু আলোচনা করা যাক:

ভাষা শিক্ষার মৌলিক চারটি দিক হল- শোনা-বলা- পড়া ও লেখা নতুন কারিকুলামে এই চারটি মৌলিক দিকের প্রতি সমান গুরুত্ব দিয়েছে পাশাপাশি ভাষার নান্দনিকতার উপর আলাদা জোর দেওয়া হয়েছে। বাস্তব জীবনে কোন পরিস্থিতিতে একজন শিক্ষার্থী কোন ধরনের সমস্যায় পড়তে পারে এবং বিভিন্ন পর্যায়ে ভাষার প্রয়োগ সম্পর্কে তাদের ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। শ্রেণি কক্ষ ও শ্রেণি কক্ষের বাহিরে শিক্ষার্থীরা এখন ইংরেজি ভাষা ব্যবহারে উৎসাহিত হচ্ছে। দলগত প্রতিটি কাজের শেষে তাদের উপস্থাপনা করতে হয়। এতে তাদের যোগাযোগের দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বলার ক্ষেত্রে ভয় ও জড়তা দূর হচ্ছে। ৬ষ্ঠ থেকে ৭ম পর্যন্ত বইয়ে বিখ্যাত লেখকদের লেখাগুলো আকর্ষণীয় ও মজাদার ফলে শিক্ষার্থীরা আনন্দের মধ্য দিয়ে শিখছে। প্রতিটি অভিজ্ঞতার শেষে তাদের ধারাবাহিক মূল্যায়ন করা হচ্ছে ফলে সল্প সময়ের মধ্যে শিখন ঘাটতি চিহ্নিত ও পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের বাক্য তৈরির দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে তাদের মধ্যে লাইন বাই লাইন বাক্য মুখস্থ করার প্রবনতা কমছে। বাক্য তৈরি করাতে না পারা ইংরেজি ভাষা শেখার ক্ষেত্রে বড় অন্তরায়। শিক্ষার উদ্দেশ্য কখনো প্রথম বা দ্বিতীয় হওয়া বা ৮০% এর উপায় নম্বর পাওয়া নয়। শিক্ষার উদ্দেশ্য অবশ্যই নৈতিক গুন সম্পন্ন ব্যক্তি সৃষ্টি করা। সাহিত্য সব সময়ই একটা পজেটিভ বার্তা বহন করে যা শিক্ষার্থীদের মনজগৎকে আলোড়িত করে এবং তাদের নৈতিক গুনাবলী অর্জনে অন্যতম সহায়ক ভূমিকা পালন করে। নতুন কারিকুলামের ইংরেজি বইগুলোতে উল্লেখযোগ্য হারে সাহিত্য (নাটক, কবিতা, গল্প, রচনা ও উপন্যাস) সংযোজিত হয়েছে ফলে তারা ভাষা শিক্ষার পাশাপাশি অধিক মানবিক গুন সম্পন্ন হচ্ছে। নতুন কারিকুলাম নিঃসন্দেহে অন্ধকার গ্রামার শিক্ষার যুগকে বিদায় জনাবে কেননা গ্রামার শিক্ষা মানেই ভাষা শিক্ষা নয় এবং জীবন ভিত্তিক ইংরেজি শেখার পথ সুগম করে দিবে। তবে আশাবাদী হওয়ার পাশাপাশি কিছু ঝুকিও আছে। অন্ধকার সব সময় আলোর চার পাশেই থাকে। ধারাবাহিক মূল্যায়ন সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা এগুলো দেখার জন্য আরো অধিক দক্ষ জনবল দরকার এবং ঢালাও মূল্যায়নের সুযোগ সৃষ্টি হতে না দেওয়া, শিক্ষকদের পেশাদারিত্ব বৃদ্ধিতে আরো প্রশিক্ষন ও তার বাস্তবায়নের লক্ষে মনিটরিং হওয়া জরুরী। পাশাপাশি শিক্ষকদের সম্মান, আর্থিক সচ্ছলতা ও সামাজিক মর্যাদা নিশ্চিত করা নতুন কারিকুলাম বিশেষ করে ইংরেজি শিক্ষার পরিবর্তনের ধারা অব্যহত রাখার জন্য অত্যন্ত আবশ্যক।
লেখক:
তরিকুল ইসলাম
সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি)
তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমী
পাথরঘাটা,বরগুনা
বিএ অনার্স, এমএ (ইংরেজি)
মাস্টার ট্রেইনার, নতুন কারিকুলাম।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
%d bloggers like this: