পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি :
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে চাষকৃত জমির ফসল নষ্ট করে ওই জমিতে হালচাষের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৯ জানুয়ারী) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে রায়হানপুর ইউনিয়নের কড়ইতলা এলাকার সিদ্দিকুর রহমান এর চাষাবাদ করা ক্ষেতের কলাই ৬/৭ জন নারী-পুরুষ মিলে নষ্ট করে, পরে ওই জমিতে নতুন হালচাষ করে।
সরেজমিনে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের দেয়া সাক্ষাৎকারে জানা যায় যে, উক্ত জমি যা সিদ্দিকুর রহমান এর দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয়, সেই জমিতে বর্গা হিসেবে আবু মিয়া কলাই ডালের চাষ করলে গত সোমবার বিকেলে একই ওয়ার্ডের মেম্বার বাদল মিয়া দাড়িয়ে থেকে তার সাথে থাকা আরো ৬/৭ জন মিলে কলাই উপড়ে ফেলতে থাকে, তাৎক্ষণিক আমরা আবু মিয়া ও সিদ্দিকুর রহমানকে খবর দেই।
এবিষয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন এ ৭৫ শতাংশ জমি বিগত ২৯৯৫ সাল থেকে ফরাজ সুত্রে এ আমি ভোগদখল করছি, গত ২০১৮ সাল হতে আমার শ্যালক তনু মিয়া ও তার স্ত্রী হাওয়া বেগম এ জমি আমার কাছে বন্ধক রাখে যার স্টাম্প আমার কাছে সংরক্ষিত, এবং আমার বন্ধকি টাকা পরিশোধ না করেই গোপনে বাহিরে বিক্রি করে, যা জানতে পেয়ে আমার স্ত্রী হাসি বেগম ওয়ারিশ সুত্রে আদালতে অগ্রক্রয় অধিকার (হকসভা) মামলা করে, উক্ত মামলা চলোমান। আমি দূরদূরান্তে ব্যাবসার কাজে লিপ্ত থাকায় আমার দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় জমি আবু মিয়ার কাছে বর্গা হিসেবে চাষাবাদের জন্য দিয়েছি। সে জমিতে আমার ওয়ার্ডের মেম্বার সহ একই এলাকার শাহজাহান পিতা হাতেম আলী হাং, খলিল পিতা হাসেম হাং, জাকির পিতা রত্তন, তনু মিয়া পিতা মৃত হাসেম, হাওয়া বেগম স্বামী তনু মিয়া এছাড়াও কয়েকজন মহিলারা মিলে আমার জমির ফসল নষ্ট করে ও দখলের চেষ্টা করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য বাদল মিয়া বলেন, আমরা জমির কোন ফসল নষ্ট করিনাই, তবে চেয়ারম্যান এর আদেশে ওই দিন বিকেলে জমির কবলাকৃত মালিকদের জমি দখল দিতে গিয়েছিলাম।
জানতে চাইলে রায়হানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মইনুল ইসলাম বলেন, জমির ফসল নষ্ট করার অভিযোগ আমার কাছে এসেছিলো, তবে এসব কিছুই বানোয়াট। সিদ্দিক এর শ্যালক তনু মিয়ার কাছে তাদের বন্ধকি টাকা আমার পরিষদে জমা রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে সিদ্দিকুর রহমান ও তার স্ত্রী হাসি বেগম এর কাছে খবর দিলেও তারা বন্ধকী পরিষদে টাকা নিতে আসে না এবং জমির দখলও ছাড়ে না।