রেজাউল ইসলাম, মঠবাড়িয়া:
দক্ষিণ বাংলার অন্যতম বিদ্যাপীঠ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার কে.এম লতীফ ইনষ্টিটিউশন এর সভাপতি নির্বাচিত হলেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব আশরাফুর রহমান।
গত ২০২০ সালের ডিসেম্বরে অত্র স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনের জন্য স্কুলটির ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষের আন্দোলন ও মানববন্ধনের মাধ্যমে নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে বিদায় নেন মোস্তাফিজুর রহমান। সেই থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলে আসছে বিদ্যালয়টি। সাবেক প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান আদালতে মামলা দায়ের করে পূর্নাঙ্গ কমিটির পথ রুদ্ধ করে দেয়ায় তখন থেকেই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির নীতিমালা ২০০৯ এর ৩৯ নং ধারা অনুযায়ী ৪ সদস্যের এডহক কমিটি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলে আসছে স্বনামধন্য এই প্রতিষ্ঠানটি যার ফলে বিদ্যালয়ের সুনাম ও সুখ্যাতিতে ভাটা পরে। পরবর্তীতে সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজী এডহক কমিটির সভাপতি হলে মঠবাড়িয়ার সুধীজনেরা আশা করেছিল এবার মামলাটি নিস্পত্তি করে পূর্নাঙ্গ কমিটি করে স্কুলটির সুনাম ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু উক্ত কমিটির মেয়াদ শেষ হলে সংসদ সদস্যের স্ত্রীকে সভাপতি বানিয়ে সেই এডহক কমিটিতেই সীমাবদ্ধ থাকল।
(সোমবার) ২২ জানুয়ারী বরিশাল শিক্ষা বোর্ড, মঠবাড়িয়ার আপামর জনসাধারনের জনপ্রিয় জননেতা ও অত্র বিদ্যালয়ের একসময়ের মেধামী ছাত্র আশরাফুর রহমানকে সভাপতি হিসেবে এবং বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষিকা মোসাঃ নাসিমা বেগমকে শিক্ষক সদস্য, মোঃ কামাল খানকে অভিভাবক সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানকে সদস্য সচিব মনোনীত করে নতুন কমিটি অনুমোদন করেন। নতুন এডহক কমিটি অনুমোদনের পর মঠবাড়িয়ার সর্বস্তরের মানুষ, ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, শিক্ষকরা আনন্দিত এবার জনতার নেতা জনাব আশরাফুর রহমানের হাত ধরে সকল ষরযন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে মঠবাড়িয়ার মানুষের প্রিয় প্রতিষ্ঠান খাস মহল লতীফ ইনষ্টিটিউশন তার হাড়ানো গৌরব ফিরে পাবে তা মঠবাড়িয়ায় একমাত্র আশরাফুর রহমানের দ্বারাই সম্ভব হবে।
