আনিসুর রহমান টুলু,বরগুনা।
বরগুনার বেতাগীতে সেফটি ট্যাংকি পরিষ্কার করতে গিয়ে জামাল (৪০) পিতা আঃ লতিফ, নামের এক শ্রমিক মারা গেছেন। সাথে কাজ করা আরেকজন শ্রমিক গৌতম দাসের পিতা অমৃত দাস, অবস্থার অবনতি হওয়ায় বরিশাল শের-এ বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) পাঠিয়েছে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফাহমিদা লস্কর।
ঘটনাটি ঘটে গতকাল সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বেতাগী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাইস্কুল রোডে সবুজ কানন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নজরুল ইসলামের তৈরি করা নতুন বিল্ডিংয়ের সেফটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কারে কাজ করতে এসেছিল শ্রমিক জামাল ও গেীতম দাস। অক্সিজেন না থাকায় অচেতন হয়ে পড়ে দু’জন শ্রমিক। সাড়া শব্দ না পাওয়ায় স্থানীয় মানুষ জড়ো হলে ফায়ার সার্ভিসকে জানায়। তারা এসে স্থানীয় মানুষদের সহায়তায় দড়ি দিয়ে তাদের দুজনকে উদ্ধার করা হয়। পরে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নেওয়া হলে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আরেকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে প্রেরণ করেন বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। শ্রমিক জামাল ও গৌতম দাসের বাড়ি বেতাগী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পশু হাসপাতাল এলাকায়।
উদ্ধারকাজে সহায়তা করতে আসা আনসার সদস্য সুকদেব হাওলাদার জানায়, আমি এসে দেখি ভিতরে অন্ধকার, তারপর দড়ি দিয়ে বেঁধে তাদের দুজনকে উদ্ধার করা হয়।’
এবিষয়ে বাসার মালিক ঘটনার পর থেকে নজরুল ইসলাম মাষ্টারের সাথে কথা বলা যায়নি। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফাহমিদা লস্কর বলেন, ‘ শ্রমিক দু’জনের মধ্যে জামাল নামের একজন শ্রমিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে আসার পূর্বেই মারা যায়।
আরেক জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আমরা তাকে বরিশাল শেবাচিমে পাঠিয়েছি।
বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশ পোস্ট মাটামের জন্য বরগুনা পাঠানো হয়েছে। তাদের কোনো অভিযোগ পাইনি। যদি করা হয় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে