পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নে জমির দলিল কেন্দ্র করে এনামুল হক মাসুম (৪০) কে মারধর ও তার ফার্মেসী ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে তারই আপন চাচাতো ভাই ও তার ছেলের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৮ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে ভুক্তভোগী এনামুল হক মাসুমের বাড়ির সামনে ফার্মেসীতে এ ঘটনা ঘটে।
এনামুল হক মাসুম উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মধ্য বাইনচটকী মৃত. সিরাজ উদ্দিন এর ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দীতে জানা যায় যে, সোমবার সকালে মাসুমের ফার্মেসীতে হঠাৎ করেই দেখি তার চাচাতো ভাই শামসুল হক (৬০) ও তার ছেলে হাসান (২০) আক্রমণ করে, ফার্মেসীতে থাকা চেয়ার দিয়ে একের পর এক আঘাত করলে ফার্মেসীর বিভিন্ন ঔষধ ভাংচুর হয় এবং মাসুম আহত হয়, পাশাপাশি দোকানদাররা জানান মাসুমকে মারধর করছিলো এরই মধ্যে আমরা দৌড়ে এসে শামসুল হক ও তার ছেলে হাসানকে টেনে নামিয়ে দেই।
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী এনামুল হক মাসুম বলেন, আমি পেশায় একজন (প্যারামেডিকেল) ডাক্তার, আমি আমার বাড়ির সামনে ফার্মেসী নিয়ে ব্যবসা করি, বেশ কিছুদিন ধরেই আমার চাচাতো ভাই শামসুল হক আমার কাছে একটি আসল দলিল চায়, কিন্ত সে দলিল আমার কাছে না থাকায় তাদেরকে নাই বললেও তারা আমার উপরে চরাও হয়, এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার সকালে আমার ফার্মেসীতে এসে সেই দলিল চাইলে আমি বলি আমার কাছে আসল দলিল নাই একটা ফটোকপি আছে সেটা নিতে পারেন, এমন বলায় আমার চাচাতো ভাই শামসুল হক আমাকে কিল-ঘুষি শুরু করে একপর্যায়ে রক্ষা পেতে আমিও প্রতিহত করি, সে দৌড়ে গিয়ে তার ছেলে হাসানকে নিয়ে আসে এবং উভয় মিলে আমাকে মারধর করে ও আমার ফার্মেসীর ঔষধ ভাংচুর করে, এতে আমার প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমাকে একা পেয়ে বিগত দিনেও তারা আমার সাথে এমন আচারণ করেছে, আমি বাধ্য হয়ে ২০১৮ সালে পাথরঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।
ভুক্তভোগী আরো বলেন, যখন বাবা-ছেলে মিলে আমাকে মারধর করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয় তখন উপায় না পেয়ে তাৎক্ষণিক আমি ৯৯৯ তে ইমার্জেন্সি কল করি, পরে পাথরঘাটা থানা থেকে পুলিশ এসে ঘটনা তদন্ত করে আমাকে মঙ্গলবার থানায় যেতে বলে, আমি মঙ্গলবার থানায় গেলে ঘটনার তদন্ত অফিসার এসআই আলী হোসেন বলেন, আপনি আপনার চাচাতো ভাই শামসুল হক কে মেরেছেন তাই সে বরগুনা চিকিৎসা নিচ্ছে, সে তিনদিন পরে আসলে দেখি কি করা যায়।
এদিকে অভিযুক্ত শামসুল হক ও তার ছেলে হাসানের বরগুনায় চিকিৎসার ব্যপারে জানতে তাদের বাড়িতে গেলে শামসুল হক এর স্ত্রী মোসাঃ বুলবুল বেগম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, তারা কেউ ঘরে নাই, আমার স্বামী গাছের কাজে গেছেন, এবং আমার ছেলে দোকানের কাজে বরগুনা গেছেন।
জানতে চাইলে তিনি বলেন গতকাল (মঙ্গলবার) আমার স্বামী বাড়িতেই ছিলেন এবং আমার ছেলে দোকানের কাজে বরগুনা গিয়েছিলেন। তার মুখ থেকে বরগুনায় চিকিৎসার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে পাথরঘাটা থানার এসআই আলী হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে আমি গিয়েছিলাম, দু’ চাচাতো ভাইয়ের মধ্যে জমির দলিল নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে উক্ত ঘটনা সমাধান করা হবে।