আনিসুর রহমান টুলু, বরগুনা:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের গড়া প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর বরগুনার উপ-পরিচালক গাজী আনোয়ারুল হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া যায়।
গত ১১/৫/২৩ তারিখে সরকারি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসার সহায়ক কর্মী কাম পরিচ্ছন্নতাকারী পদে ১২জন প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর জাল জ্বালিয়াতি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।২০২২-২০২৩ অর্থবছরে দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসা সংস্কারও আসবাবপত্র ক্রয় করার নামে সরকারিভাবে বরাদ্দ হয় ৪ লক্ষ ২১ হাজার পাঁচশত ৩৬ টাকা, সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা প্রতিষ্ঠানে বন্টন না করে আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করতেছেন উপ-পরিচালক গাজী আনোয়ারুল হক।
বরগুনা জেলায় সর্বমোট ৬৮৫ টি গণশিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। জেলা উপজেলায় প্রায় ৫০টি কেন্দ্র শুন্য রয়েছে। কর্মরত প্রতিষ্ঠানের একাধিক ব্যক্তিরা বলেন, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি নিয়ম মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পন্ন করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেয়া হলেও উপ-পরিচালক বরগুনা ইসলামী ফাউন্ডেশনের গাজী আনোয়ারুল হক নোটিশ বিজ্ঞপ্তি ছাড়া অর্থের বিনিময় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া করেন। কিছু শিক্ষকের কাছে উপ-পরিচালক টাকা দাবি করলে শিক্ষকরা টাকা না দিতে পারায় ওই শিক্ষকদের কারণ দর্শনের কোন নোটিশ না দিয়ে ১৭ শিক্ষক কে বাদ দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই অসহায় পরিবারগুলো। বরগুনা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পাঠক লাইব্রেরী ও বই বিক্রয় কেন্দ্রে গোয়ালঘরে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় পাঠক ফোরাম থাকার কথা থাকলেও তিনি না করে অর্থ আত্মসাৎ করেন। এতে মেধা বিকাশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পাঠকরা।
এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের নেই কোন মাথা ব্যাথা। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জাতীয়ভাবে প্রতিবছরে জেলা পর্যায় ইমামদের নিয়ে ইমাম সম্মেলন ও এস এস সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, জেলার শিক্ষকদের নিয়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস,জামাত, শিবিরের কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা সভা ও অনুষ্ঠান না করে এই বাজেটের টাকা উপ-পরিচালক আত্মসাৎ করেন।
জেলার সকল শিক্ষকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগ করে যাকাত বাবদ রশিদ না দিয়ে ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা উত্তোলন করেন। মহিলা শিক্ষকদের সাথে ব্যক্তিগত অনৈতিক কথাবার্তা বলেন যাহা সম্পূর্ণ বেআইনি। উপ-পরিচালক গাজী আনোয়ারুল হকের অর্থ আত্মসাৎও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মো: নুরুল আমিন নামে এক শিক্ষক ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
উপ-পরিচালকের কাছে এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে বলেন কাজ করতে গেলে ভুল ত্রুটি হতে পারে, সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা আমার কাছে জমা আছে,অচিরেই সকলকে ডেকে দিয়ে দিব, এছাড়া অভিযোগের অন্যান্য বিষয়গুলো তিনি এড়িয়ে যান।